
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং পতিত আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তন করাতে আদাজল খেয়ে নেমেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটির জাতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (‘র’) দিয়ে গোপন মিশনে নেমেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির নীলনকশায় বাংলাদেশে ৩০০ মানুষকে কিলিংয়ের (হত্যা করা) টার্গেট পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া নানা অজুহাতে পরিকল্পিত আন্দোলন-বিক্ষোভ করিয়ে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ভয়াবহ তথ্য জানা গেছে। তবে বিষয়টি টের পেয়ে এরই মধ্যে সব গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় মিডিয়ায় পরিকল্পিতভাবে অনবরত মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইএসপিআর ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবিচল রয়েছে।’তবে এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সরকারপ্রধানের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের গোয়েন্দাগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।
ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করার জন্য পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ বলে প্রতীয়মাণ হয়।প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে, সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের চেইন অব কমান্ড শক্তিশালী রয়েছে এবং জ্যেষ্ঠ জেনারেলরাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আনুগত্যে অবিচল।সেনাবাহিনীর মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ। এটা বিশেষভাবে উদ্বেগের যে, দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনের মাত্র এক মাস আগেও ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এই গণমাধ্যমে একই ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। পেশাগত এ আচরণের কারণে এসব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এ ছাড়া বেশকিছু অনলাইন পোর্টাল ও কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেল এসব মিথ্যা প্রচার করেছে, যাতে অপপ্রচার আরও তীব্র হয়েছে।মনে হচ্ছে, তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।’