
সাতক্ষীরা করেসপনডেন্ট:
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আরেফিন তুরান নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
নিহত শাহরিয়ার আরেফিন তুরান (৩০) কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের ধানঘরা গ্রামের মৃত. আব্দুল হামিদের ছেলে। সে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের চাচা আব্দুর রশিদ জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তুরান তার দোকানের ভাড়াটিয়া মনিরুল ইসলামের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা চান। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মনিরুল ইট দিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে খুলনা সিটি মেডিকেলে তার অস্ত্রোপচার হয়। এরপর বাড়িতে নিয়ে আসলে আজ মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে কেরালকাতা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার লিটিল বলেন, মনিরুল ইসলাম ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম কি না তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে পরে জানানো যাবে।
এদিকে সদ্য বিলুপ্ত কলারোয়া উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মনিরুল কেরালকাতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সে তুরানকে ইট দিয়ে আঘাত করে। এরপর আজ মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুরানের মৃত্যু হয়। কাজিরহাট বাজার বনিক সমিতির কমিটিকে ঘিরে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, মনিরুল ইসলাম ও তার বাবা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।