
জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব থেকে গঠন করা হচ্ছে আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন। ওই ছাত্র নেতৃত্বের যে অংশ নতুন এই সংগঠন করছেন, তাদের প্রধান নেতারা জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা।
ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল এনসিপি গঠনের প্রক্রিয়াতেই দুটি অংশের বিভাজন দৃশ্যমান হয়। সেই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসা অংশ আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন কেন করছেন -এমন অনেক প্রশ্নে নতুন আলোচনা চলছে রাজনীতিতে।
আলী আহসান জুনায়েদ গত রোববার (১৬ই মার্চ) নিজের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্টের মাধ্যমে তাদের নতুন সংগঠন করার কথা প্রকাশ করেন। তিনিই এর একজন প্রধান সংগঠক।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, জুলাইয়ের চেতনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে কাজ করবে তাদের নতুন সংগঠন।
নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও সংগঠনটিতে যুক্ত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন আলী আহসান জুনায়েদ।
তবে অতীতে শিবিরসংশ্লিষ্টতার কারণে আত্মপ্রকাশের আগেই নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে নতুন সংগঠন তৈরির উদ্দেশ্য ও এর নেতৃত্ব নিয়ে।
অনেকেই বলেছেন, শিবিরের ট্যাগ থাকায় ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিতে জায়গা না পাওয়ার কারণেই গড়ছেন এই প্ল্যাটফর্ম; যেখানে থাকতে পারে ধর্মের প্রাধান্য।
একইসঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ইসলামপন্থীদের উত্থানের যে প্রবণতা দেখা গেছে, তা এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী হতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
তবে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন তৈরির উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে প্ল্যাটফর্মটিকে ‘জামায়াতের বি-টিম’ হবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।