
যশোরের মনিরামপুরে ১২ বছর বয়সী নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা লুৎফর রহমান গাজীকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয়েছে পরে। আটক লুৎফর রহমান গাজী হাজরাকাটি গ্রামের জামির আলীর ছেলে।
মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী।
নির্যাতনের শিকার শিশুর দাদি ও ধর্ষকের স্ত্রী খোদেজা বেগম বলেন, আমার নাতনি অনেকদিন আগে থেকে আমাকে বিষয়টা জানিয়েছিল। আমি তারপর আমার স্বামীকে বলেছি- নাতনি বড় হয়েছে তার গায়ে এভাবে হাত দেবে না। সোমবার আমার নাতনির চাচত নানি বেড়াতে আসলে সে তার সঙ্গে বিষয়টি বলেছে। তারপর এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশ এসে আমার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিন বছর আগে মা তাদের দুই ভাই বোনকে ফেলে চলে যান। মাসখানেক আগে দাদা লুৎফর গাজী একবার শিশুটিকে নির্যাতন করেছে। এ ছাড়া একাধিকবার তিনি শিশুটির স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেছেন। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর পারিবারিকভাবে লুৎফর গাজীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে।
শিশুর চাচত নানি ও মামলার বাদী রাশিদা খাতুন বলেন, আমি আমার জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসলে আমার নাতনি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। এসে সে বলে তার দাদা তার শরীরে খারাপভাবে স্পর্শ করে এবং আগেও এমন করেছে। এটা শোনার পর আমি আমার জামাইকে বিষয়টা জানালে সে এলাকাবাসীকে নিয়ে লুৎফর রহমানকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, শিশুটির চাচাত নানী রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। সেই মামলায় লুৎফর রহমানকে আটক করা হয়েছে।