
সংস্কার প্রশ্নে চার্টার বা সনদ তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সূচনা বৈঠকে আজ বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ ও জামায়াতে ইসলামীসহ বর্তমানে সক্রিয় সব দল ও জোটের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। যদিও এই বৈঠককে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ শুরুর আনুষ্ঠানিকতা বলা হচ্ছে, কিন্তু এই বৈঠকেও নির্বাচন এবং এর রোডম্যাপের তাগিদ আসতে পারে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে।
নির্বাচনি ব্যবস্থা, সংবিধান, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম দফায় যে ছয়টি কমিশন গঠন করে, তারা তাদের সংস্কারের সুপারিশসহ প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। এই ছয় কমিশনের প্রধানদের নিয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সময় ধরে চলবে বলে আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট এবং এর মিত্র হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে অন্য সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রথম বৈঠকে আনুষ্ঠানিকতার পর এই কমিশন দল ও জোটগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে সংস্কারের সুপারিশের ব্যাপারে মতামত নেবে। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য একটি ন্যাশনাল চার্টার বা জাতীয় সনদ তৈরির জন্য কমিশনকে আগামী অগাস্ট মাস পর্যন্ত ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এর আগেই দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা তাদের থাকবে।