
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাবন্দী জামায়াত নেতা এটিম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণজমায়েতে তিনি এ দাবি করেন।
জামায়াত আমির বলেন, ১৩ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে আজহারুল ইসলাম জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন। দয়া করে এখনই তাকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাকে ভেতরে রেখে আমি আর বাহিরে থাকতে চাই না। সরকারকে অনুরোধ করেছি, ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি স্বেচ্ছায় নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে বলবো আমাকে গ্রেপ্তার করুন। আমাকে কারাগারে পাঠান। যেদিন আজহার ভাই মুক্তি পাবেন, পরদিন আমাকে মুক্তি দিয়েন। নাহয় জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করে দেশের তিন কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, তাদেরকে জেলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মানুষ আশা করেছিল ২৪এর পরে সকল দুঃশাসন, দুর্নীতি ও অন্যায় থেকে তারা মুক্তি পাবে। আমরা কি মুক্ত হতে পেরেছি?। আমাদের সন্তানরা একটা বিশাল স্বপ্ন নিয়ে বুক পেতে দিয়েছিল। তারা বুক পেতে দিয়েছিল বুলেটের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ ছিল অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে। পৃথিবীতে যুবকরা কখনো অন্যায় মেনে নিতে পারেনা। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে। আর এই সংগ্রাম করে হয় শহীদ হয়, না হয় গাজী হয়ে ফিরে আসে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে শত শত যুবক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ জীবন দিয়েছে। ৩৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। তার পরেও এখনো অন্যায়, অবিচার ও জুলুম রয়ে গেছে। তারা কারা যারা শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করছে। আমরা তাদের দল দেখতে চাইনা, আমরা তাদের গোত্র দেখতে চাইনা। তাদের বলব, আপনারা ভালো হয়ে যান। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না।
জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে জমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আজীম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর জেলা নায়েবে আমীর নজির আহম্মদ, এ আর হাফিজ উল্লাহ, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মহসিন কবীর মুরাদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।