
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বেশ কিছুটা সময় কেটে গেছে। কিন্তু ভারতের রাজধানীর রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ এখনও কমেনি।
ভোটের ফল বলছে, দুর্নীতির ছোঁয়ামুক্ত রাজনীতি, নেতাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং দিল্লির উন্নয়ন–– মূলত এই তিন ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করা অরবিন্দ কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টি (এএপি বা আপ) ভোটে পরাজিত হয়েছে। প্রায় ২৭ বছর পর বিধানসভা ভোটে জিতে দিল্লির ক্ষমতা আবার দখল করেছে গেরুয়া শিবির।
প্রায় ১২ বছর আগে ‘অল্টারনেটিভ পলিটিক্স’ এর আমেজে ভারতের রাজনীতির ময়দানে নামা আপের ‘ন্যারেটিভ’ মন জিতেছিল দিল্লির শিক্ষিত সমাজের। আর আম জনতার মন কেড়েছিল দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। বিদ্যুৎ ও পানি সংক্রান্ত বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতিও ভোটারদের আগ্রহ তৈরি করেছিল।
এর ফলস্বরূপ, পরের বিধানসভা ভোটগুলোয় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছিল আম আদমি পার্টি।
আপের ‘নাতিদীর্ঘ’ রাজনৈতিক সফরে, পুরানো নেতাদের দলত্যাগ বা তাদের অন্য দলে যোগদান সত্ত্বেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের প্রতি ‘আস্থা’ রাখতে দেখা গিয়েছিল দিল্লিবাসীকে। এমনকি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বা মধ্যবিত্ত-সহ টার্গেট ভোটারদের মন জিততে কংগ্রেস ও বিজেপির পাল্টা প্রতিশ্রুতিও এই সমীকরণটা বদলাতে পারেনি।
একরকম সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলেন যে দিল্লির মানুষ কেন্দ্রে বিজেপিকে চায় আর বিধানসভা ভোটে তারা ‘অন্য বিকল্প’ খোঁজেন, ঠিক তখনই পুরো অঙ্কটা পাল্টে গেছে।
২০২৫-এর বিধানসভা ভোটে আপের হার, বিজেপিরএই জয় আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদের আগামী দাবিদারকে নিয়ে যেমন আলোচনা তুঙ্গে, তেমনই আম আদমি পার্টির পরাজয়ের কারণ এবং ওই দলের ‘অস্তিত্বের’ ওপর এই হার প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়েও বিশ্লেষণ চলছে।