
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে ডিসেম্বরেই নির্বাচনের বিষয়ে একমত হওয়ার ধারণা পাওয়ার পর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ওই বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
যদিও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ওই দিনই তার ব্রিফিংয়ে বলেছেন ‘বিএনপির পক্ষে বলা হয়েছে যেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়। ঐকমত্য কমিশনের কাজই হবে এটা নিয়ে কাজ করা’।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তাদের কাছে আলোচনার সময় মনে হয়েছে যে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির দাবি সরকারের কাছে গ্রাহ্য হয়েছে এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী কী হবে সেটি এখন সরকারকেই ঠিক করতে হবে।
“রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার এটি পরিষ্কার করতে পারে। তাহলে বুঝতে পারবো যে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে আমরা আগেই বলেছি স্বল্পমেয়াদে জরুরি সংস্কার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত,” বলেছেন তিনি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে সরকারের একজন উপদেষ্টা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নির্বাচনের আগে কতটা সংস্কার করা প্রয়োজন আর নির্বাচনের পর কতটা হবে- সেটি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি করাই হবে পরবর্তী ধাপের কাজ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সোমবারই জানিয়েছেন যে, পনেরই ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথম বৈঠকে বসবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে।
এদিকে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন এখন ভোটার হালনাগাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।